মৃত্যু ও হত্যা..
আত্মনির্ভরশীল দেশে দরকার আইনের শাসন,ও আইনের শিকল....
চুরাশি বছর বয়স,আর কতদিন বাঁচবে? একটা মানুষ আর কতদিন বাঁচবে? সত্যি ই তো ! আসলে রাঁচীর এক অতি সাধারণ বাড়ী থেকে NIA হলিউড সিনেমার কায়দায় করোনা কালে এক রাষ্ট্রদ্রোহী কে ২০২০-র অক্টোবরে গ্রেফতার করে,UPA ধারায় মামলা দায়ের করে।এই ভয়ঙ্কর লোকটি কে বাঁচিয়ে রাখতে এত পয়সা সরকার জলে দেবে কেন? এসমস্ত লোক রাষ্ট্রের জন্য ভয়ানক।এরা খ্রীষ্ট ধর্ম নিয়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাজনীতি করে। সনাতন হিন্দু ধর্মের জন্য এরা ভাইরাস। এদের আইনের শিকল বাঁধো,বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে মেরে ফেলতে হবে। সংশোধনাগারে সংশোধনের নামে নিধন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।প্রথম শিকার ফাদার স্ট্যান স্বামী।এ একেবারে বোকা লোক। নামের মধ্যেই কেমন বিদেশী বিনিয়োগ।সত্যিই তো, আত্মনির্ভরশীল স্বদেশী ভারতে নাম টা পরিবর্তন করে নেওয়া উচিত ছিল। রাজার তোষামোদ না করলে পেয়াদারা কি রাজার বিরোধী হবে! বিচারপতির কি দোষ!!আইন তো কর্পোরেট লোকের জন্য প্রযোজ্য নয়।তাই ফাদার আসল গিনিপিগ, আইনের পরীক্ষায় ফাদারের মৃত্যু হলেও তা ফাদার বা আইনের হত্যা নয়, আইনের শাসন!!
ভারতীয় রাজনীতিতে কমিউনিস্ট পার্টি বহু ভাগে বিভক্ত। জৈব যৌগের মতো হাজারো গ্রুপ।১৯৯০ থেকে এদের বোঝা র চেষ্টা করছিলাম।CPM র অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে কিছু মানবিক ও সামাজিক কমিউনিস্ট পার্টি তৈরী হয়।বাম হয়েও এরা বাম সরকার বিরোধী। এরা ২০১১ তে এক বাম মনোভাবের ডান দলকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আনে,নিজেরা উপেক্ষিত থেকে যায়। জোটে গিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে SUCI শূন্য।২০২১ এ CPM র একঅবস্থা। সংসদে বা বিধান সভাতে বাম মুখ দরকার,না হলে ডানপন্থীদল গুলো কে প্রশ্ন করার সাহস কেউ করবে না। শরীরের ব্যালেন্সের জন্য দুটি হাত দরকার, তেমনি দেশের ভারসাম্যের জন্য বামদল দরকার।
সংসদীয় রাজনীতিতে থাকতে গেলে সামাজিক হতে হবে।"গরিবী হটাও" যদি মনের ইচ্ছে হয়, তাহলে মাওবাদীদের ইন্ধনে রক্তের দাগ না লাগে তা ভাবতে হবে। পূজা উদযাপন, বিবাহ, মৃত্যু সামাজিক অনুষ্ঠানকে অস্পৃশ্য করে রেখে নিজেদের সমাজ থেকে দূরে সরিয়ে লাভ নেয়।তাত্ত্বিক নয়, সামাজিক কমিউনিস্ট হতে হবে। সর্বোপরি আগে নিজেদের একতা আনতে হবে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্ভব হলে নিজেদের মধ্যে একতা আনা অসম্ভব নয়। সারা ভারতে ব্যক্তিগত ও স্বল্পপরিসরে এই করোনা কালে যে মানবিক কাজ গুলো চলছে,যারা করছে সব সরকারের ঘাটতি মেটাতে।এই মানবিক কাজ তত্ত্বকথা অনুযায়ী কমিউনিজম হলে, তাকে এক্সপ্লোর করতে বিভেদ ভুলে একযোগে পথে নামতে হবে।বালির বস্তা হতে হবে না হলে এই রাষ্ট্র শক্তির আগ্রাসনের অল্প অল্প পেনিট্রেশন করে লাভ হবে না। সংসদীয় রাজনীতিতে সংখ্যা অর্জন করতে বাস্তবে ফিরে আসতে হবে, থিওরি ও প্রাকটিক্যালে এতো ডেভিয়েশন থাকলে,সে থিওরি কেউ আর শুনবে না।
অস্থিরতা মানুষ পছন্দ করে না, সবাই শান্তি চায়,তাই থিওরী কল্পনা হলে, তার মডিফিকেশন দরকার।না পারলে ফেক গনতন্ত্র এই দেশে চলতেই থাকবে।সরকারী পুুলিশ, সেনা মারা যাবে,কিষেনজী গুম খুন হবে!!
মোমবাতি জ্বালিয়ে আমরা আমাদের ফেক গনতন্ত্র চালিয়ে যাবো। আইনের চোখে সবাই সমান, আইনের শিকলে কেউ ফাদার, কেউ গডফাদার!!আইন হত্যা করে না, আইনের রক্ষকই আইন কে ও আইনে নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ কে হত্যা করে।
Comments
Post a Comment